আয়ুর্বেদিক ঔষধি তালমিস্ত্রি ১ কেজি

🌴 বিশ্ববিখ্যাত অরজিনাল দুলালচন্দ্র ভড়ের আয়ুর্বেদিক ঔষধি তালমিছরি-(৬ মাস থেকে সব বয়সীদের জন্য,

কেনার আগে তালমিছরি বোতলের গায়ে দুলালচন্দ্রের ছবি ও স্বাক্ষরযুক্ত লেবেল চেক করে নিবেন😍)

👉চিনির বিকল্প: তালমিছরি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি মিষ্টি। এতে খুব কম পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) থাকায় রক্তের সুগারের ওপর খুব কম প্রভাব পড়ে। ডায়াবেটিস সমস্যায় যাদের চিনি খাওয়ায় সমস্যা আছে, তারা এটি খেতে পারে🙂।

🔺অনেক ডাক্তার -১ বছরের আগে বাচ্চাদের চিনি খাওয়াতে নিষেধ করে, কিন্তু অনেক মায়েরা চিনির পরিবর্তে কি দিবেন তা নিয়ে খুব টেনশন করেন তাই বাচ্চাদের খাবারের একটু মিস্টি স্বাদ আনতে এতে তালমিছরি যুক্ত করুন 🙂।

👉তালমিছরি এর উপকারিতা-

আনিমিয়া : ,তালমিছরিতে প্রচুর পরিমান আয়রন থাকার দরুণ এটা আনিমিয়াতে ভীষণ ভাবে কাজে দেয়। বিশেষত মেয়েদের জন্য তালমিছরি খুব উপকারী। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

👉হাড়ের সমস্যা সমাধান : প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম আর পোট্যাশিয়াম থাকার কারণে তালমিছরি হাড় ও দাঁত শক্ত করে ও হাড়ের সমস্যা দূর করে।মেয়েদের মেনোপজের পরে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে এবং হাড় ভাঙ্গার সমস্যা একটি দৈনন্দিন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই ক্ষয় রোধ করতে নিয়মিত তালমিছরি সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। এই দুটি কারণের জন্য বাচ্চাদের জন্যও তালমিছরি খুব উপকারী।

👉কিডনি স্টোন এর জন্য: পেঁয়াজের রসের সাথে তালমিছরি মিশিয়ে কিছুদিন খেলে কিছুদিনের মধ্যেই প্রস্রাবের সাথে কিডনি স্টোন বেরিয়ে যায় । তালমিছরি কিডনির জন্য উপকারী।

👉পেটে ব্যথা: নিমপাতার সাথে তালমিছরি খেলে পেটের ব্যথা কমে। ধনে গুঁড়োর সাথে তালমিছরি গুঁড়ো মিশিয়ে জলের সাথে দিনে ২-৩ বার খেলে পাতলা পায়খানা আটকে যায়,বিশেষ করে গরম কালে হিট স্ট্রোক হলে এটি খুব কাজে লাগে।

👉নাক দিয়ে রক্ত পড়া: অনেকেরই গরমকালে নাক দিয়ে রক্তপাত হয়। নাকের কাছে মিছরি গুঁড়ো করে শুঁকলে রক্তপাতের উপশম হয়।

👉মুখের আলসার: মুখের আলসারের জ্বালাতে উপশম পেতে তালমিছরি আর এলাচ গুঁড়ো করে পেস্ট করে মুখের ভেতরে লাগালে আরাম পাওয়া যায়।

👉কন্সটিপেশন: তালমিছরিতে ডায়েটারি ফাইবারের প্রাচুর্যের জন্য এটি হজমে সাহায্য করে এবং কন্সটিপেশান সারিয়ে তোলে।

👉গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ: তালমিছরিতে জি আই বা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর পরিমান চিনি ,মধু ইত্যাদির থেকে অনেক কম থাকে,যার থেকে আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেড কম তৈরী হয় ফলত এটি আমাদের রক্তে 𝐆𝐥𝐮𝐜𝐨𝐬𝐞 এর মাত্রা কে বাড়তে দেয়না। এইকারণে এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এ সহায়তা করে।

👉ডায়রিয়াতে: বার বার পাতলা পায়খানা বা বমি হলে আমাদের শরীর থেকে ইলেক্ট্রোলের মাত্রা কমে যায়। ও আর এস এর পরিবর্তে তালমিছরি জলের সাথে মিশিয়ে বারে বারে খাওয়ালে এই ঘাটতি পূরণ হয় এবং শরীরে এনার্জি ফেরত আসে।

👉শিশুদের ব্রেন ডেভেলপমেন্ট: ছোট শিশুদের ব্রেন ডেভলপমেন্ট এর জন্য তালমিছরি অত্যন্ত উপযোগী। এছাড়া এটি নিয়মিত খেলে ছোট শিশুদের হাড় শক্ত হয়। এছাড়া ;ঠান্ডা জনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ এটি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। পেটের রোগ প্রতিহত করতে তালমিছরির জুড়ি নেই।

👉রোগের যম: এটি হারবাল ওষুধ তৈরী করতে ব্যবহৃত হয়। এর বিভিন্ন উপাদান আমাদের অনেক রকম রোগের প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

👉ব্লাড সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে: আগেই বলেছি তালমিছরি প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি মিষ্টি। তাই এতে কোন ক্ষতিকর উপাদান নেই।

👉তালমিছরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ভিটামিনস, মিনারেলস (ক্যালশিয়াম,পট্যাশিয়াম,আইরন,জিঙ্ক,ফসফরাস ইত্যাদি) আর আমাইনো এসিডস। একটি অল্প লভ্য ভিটামিন, বি ১২,যা মূলত আমিষাশী খাবারেই পাওয়া যায়,তা পাওয়া যায় এই তালমিছরিতে।

এ ছাড়াও এতে আছে ২৪ টি প্রাকৃতিক উপাদান,যার জন্য এটি প্রভূতভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধি তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

সর্দিকাশি হলেই 2/3 টি করে খেতে দিতে পারেন দুলালের তালমিছরি। কারণ, সর্দিকাশির ক্ষেত্রে তালমিছরির উপকারিতা যথেষ্ট।তালের গুড় থেকে দুলালের তালমিছরি তৈরি হওয়ায় এই মিছরির গুনাগুন অন্য তালমিছরির তুলনায় অনেকটাই বেশিই।