রহস্যোপন্যাস
বিষম ফাঁদ
শেখ আবদুল হাকিম
প্ল্যাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে লব্ধ বিজয় যখন মীর হামজার চেহারা পেয়েছে, মিস্টার হামজা তখন নিজেও প্ল্যাস্টিক সার্জারির সাহায্যে নিজের চেহারা অয়েক রকম করে নিয়েছেন।
একজন সৎ তরুণের সরলতা এবং বিপদকে পুঁজি করে ধনকুবের ক্রিমিন্যাল এই মীর হামজা নিজের গা বাঁচানোর প্ল্যান করেছেন সুদক্ষ আইনজ্ঞ বন্ধুর বৃদ্ধিতে। কিন্তু হামজার প্রেমিকা সুন্দরী সানি সিরাজি যে লব্ধর প্রেমে পড়ে যাবে, এটা কারও মাথায় ছিল না। এও কারও মাথায় ছিল না যে, দেহরক্ষী কুতুব কাক হয়ে আরেক কাকের মাংস থেকে চাইবে, কিংবা দৃশ্যপটে হাজির হবে অপার নিষ্ঠা।
শেষ দৃশ্যে ইন্সপেক্টর জানতে চাইলেন, 'মিস্টার লব্ধ বিজয়কে কতটা ভালোভাবে চেনেন আপনি?'
নিষ্ঠা জবাব দিল, 'যতটা ভালোভাবে চেনা সম্ভব। ওর সঙ্গে আমার এনগেজমেন্ট হয়েছে।'
'তিনি কি সবসময় এই তকমা দেখতে, এখন যেমন তাঁকে
দেখতে লাগছে?'
'তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন কিভাবে, ইনি লব্ধ বিজয়?'
'ও নিজে আমাকে বলেছে।'
"কখন?
'দুদিন আগে।"
'ও জানত আমি সন্দেহ করছি মিস্টার মীর হামজা নয় ও।
সিদ্ধান্ত নেয় সত্যি কথাটা আমাকে জানাবে।'
'চেহারা বদলের ব্যাপারটা আপনাকে তিনি ব্যাখ্যা
করেছিলেন?
"আপনি তাঁর এই কাহিনি বিশ্বাস করেছিলেন?'
সাবধানে জবাব দিল নিষ্ঠা, 'আমার বিশ্বাস, লভ এটি
বিশ্বাস করেছিল।'
'কিন্তু আপনি করেননি।'
কেন?
'কোনো বোধগম্য কারণ নেই,' বলল নিষ্ঠা। 'বলতে
পারেন, মেয়েদের ইন্সটিংকট।