আজ আমি কোথাও যাব না
বই: আজ আমি কোথাও যাব না।
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ।
প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ।
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১১
মূল্য : ২৮০ টাকা
ডেলিভারি চার্য : ৯০ টাকা বা লোকেশন অনুযায়ী
সম্পূর্ণ ক্যাশ অন ডেলিভারিতে
কাহিনী সংক্ষেপ:
শামসুদ্দিন আহমেদ। পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। ছোট বেলায় তার বাবা-মা দুজনই মারা যায়। বড় হয়ে উঠেন খালার বাসায়। খালার অন্যান্য ছেলে মেয়ে থাকার সত্বেও খালা তাকে আলাদা একটা স্নেহ করতেন। শামসুদ্দিন আহমেদের হাঁচির রোগ আছে।
শুনতে হাস্যকর শুনালেও ব্যাপারটা ভয়ংকর। যখন হাঁচি শুরু হয় একসাথে সত্তুর থেকে আশিটা হাঁচি না দেওয়া পর্যন্ত থামে না। কিন্তু এর চেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো হাঁচির সাথে রক্তও অনবরত পড়তে থাকে। গায়ে থাকা সাদা পাঞ্জাবিটাও তখন লাল টকটকে হয়ে যায়।
শামসুদ্দিন আহমেদ বিয়ে করেন নি। বর্তমানে থাকেন তার খালাতো বোন রাহেলার বাসায়। রাহেলা মেয়েটা সাধাসিধা ধরনের কিন্তু মিথ্যা বলতে পারে খুব সুন্দর করে। শামসুদ্দিন আহমেদ কে খুবই পছন্দ করে রাহেলা। স্বামী রফিক, পুত্র পৃথু এবং শামসুদ্দিন আহমেদ কে নিয়েই রাহেলার পরিবার।
শামসুদ্দিন আহমেদের একটা ইচ্ছা তিনি আমেরিকায় যেতে চান। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলেন ঘুরার জন্য যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু একজন হতদরিদ্র শিক্ষক কি শুধু ঘুরার জন্য আমেরিকায় যাবে!!
শামসুদ্দিন আহমেদের সাথে আমেরিকান এম্বাসির মাঝে পরিচয় ঘটে জয়নাল হোসেন খন্দকারের সাথে। যে ছেলে তৃতীয় বারের জন্য আমেরিকার ভিসার জন্য এসেছে। যুবক বয়সী একটি ছেলে বাবা মা গত হয়েছে অনেই আগেই। জয়নালের একটি বোন ছিলো তার সাথেও রাগ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে দশ বছর হলো।
এইবার জয়নাল তার নাম বদলে রেখেছে রোজারিও গোমেজ জয়নাল। জয়নালের ধারণা আমেরিকানরা খ্রিস্টানদের ভিসা দিয়ে দেয় কোনো ঝামেলা ছাড়াই।
জয়নালের একটি গোপন প্রেমিকাও রয়েছে, নাম ইতি। ইইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। জয়নালের ধারণা মেয়েটি অং চং ধরনের, সুযোগ পেলেই তাকে ছেড়ে দিতে পারে........
বইয়ের শেষ দিকে কি শামসুদ্দিন আহমেদ এবং জয়নলা আমেরিকায় যেতে পেরেছিলো??
পাঠপ্রতিক্রিয়া:
সাধারণ জিনিসকে অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলার প্রতিভা শুধু যেন লেখকের মাঝেই রয়েছে। বইয়ের চরিত্রের সাথে পাঠকের মায়ার এক অদৃশ্য বন্ধন তৈরি করতে তিনি মাহির। মায়াটা লেখক এমন ভাবে তৈরি করেন যে বই শেষ করে পাঠকদের বিষন্ন মনে উঠতে হয়।
এই বইটিও তার ব্যাতিক্রম নয়।
বইয়ের চরিত্রগুলোর মাঝে আমার সবয়েচে ভালো লেগেছে শামসুদ্দিন আহমেদ, জয়নাল এবং ইতিকে। বাকি চরিত্রগুলোর মাঝে রফিক নামক চরিত্রটিকেও আমার বেশ ভালো লেগেছে।
সবকিছু মিলিয়ে বলা যায় বইটি বেশ ভালোই ছিলো। বলা চলে বইটা উপভোগ করেছি পড়ার সময়।
পুনশ্চঃ এই বইখানাও একটু একটু দুঃখ কষ্টে ঘেরা। সাথে রয়েছে কিছু স্বপ্নের পূর্ণতা লাভ। এই কথাটুকু মাথায় রেখে বইখানা পড়তে বসলে উপভোগ করতে পারবেন।
(▪️রেটিং: ৪/৫)
- কখনই ব্যাংকিং কার্ড এর তথ্য কিংবা ওটিপি শেয়ার করবেন না , পেমেন্ট করার পূর্বে সবসময় পণ্যটি যাচাই করে নিন। Bikroy ডেলিভারি সার্ভিস প্রোভাইড করে না। সর্বদা সতর্ক থাকুন।
- কখনই ব্যাংকিং কার্ড এর তথ্য কিংবা ওটিপি শেয়ার করবেন না , পেমেন্ট করার পূর্বে সবসময় পণ্যটি যাচাই করে নিন। Bikroy ডেলিভারি সার্ভিস প্রোভাইড করে না। সর্বদা সতর্ক থাকুন।